জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪

প্রথম দেখায় মেয়ে পটান......।। টিপস ১

১। এমন ভাবে হাসবেন যেন জাকে দেকছেন শুধু সেই জেন বোঝে।
২। তার চোখের দিকে আক্তানা চেয়ে থাকুন জতক্কন চোখে চোখ না পরে।
৩। ৫ বার চোখাচোখি হওার পর যায়গা পরিবতন করুন।

click here for more love tips............

সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

ভালোবাসার প্রথম শর্ত

অনেক ছেলেরাই তার জীবন সঙ্গীনী হিসাবে একজন ভাল মনের নারী খুঁজেন। খুঁজতে খুঁজতে কেউ কেউ পেয়েও যান আবার কেউ না পেয়ে ব্যর্থ স্তব্ধ হয়ে যান। ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে অনেক পুরুষই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আবার কেউ কেউ নিজের সুন্দর জীবনটাকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেন নারীদের প্রতি আসক্ত হয়ে। সমাজে এমন ঘটনা অনেক ঘটে থাকে। দেখা যায় অনেক ছেলেরা নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে শুধু সারাক্ষন তার পছন্দের মেয়েটির কথাই ভাবতে থাকে। কিন্তু যে মেয়েটির কথা ছেলেটি ভেবে ভেবে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিল সেই মেয়েটি কি কখনো চিন্তা করে যে তার জন্য একটি ছেলে না খেয়ে খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে? ললনাদের মন জয় করার জন্য একঝাঁক তরুণ গবেষণা করে কয়েকটি কৌশল খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনার পছন্দের নারীর মন জয় করবেন।         

১। ভালোবাসার প্রথম শর্তই হল সততা, আপনার প্রিয় মানুষটির নিকট সব সময় সৎ থাকুন। কোন কিছুই তার কাছে গোপন করার চেষ্টা করবেন না।

২। প্রিয় মানুষটিকে তার দূর্বলতায় আঘাত করা যাবনা।

৩। আপনাকে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী। সব ধরনের মেয়ারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ও আত্মবিশ্বাসী ছেলেদের বেশী পছন্দ করে। প্রিয়তমার মানসিক ও শারীরিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখুন।

৪। প্রিয়তমাকে নিজের ধনসম্পদের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে হবে। সকল নারীরাই তার প্রিয়জনের নিকট থেকে ভালোবাসা পেতে চায়। মেয়েরা চায় তার প্রিয় মানুষটি তার প্রতি খেয়াল রাখুক তার প্রতি যত্নবান হোক। সব কিছুর উর্ধ্বে দেখুক তাকে। 

৫। মেয়েরা রসিক ছেলেদের বেশি পছন্দ করে। সামান্য একটা তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে যেসব ছেলেরা তামাশা করতে পারে সেইসব ছেলেদের মেয়েরা বেশি পছন্দ করে।

৬। মেয়েরা সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিপাটি থাকতে পছন্দ করে। মেয়েরাও চায় তার প্রিয় মানুষটি সব সময় ফিটফাট থাকুক।

৭। প্রিয়তমাকে প্রশ্ন করার মত সুযোগ দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সে কি জানতে চায়।

৮। নিজের পারিবারিক ব্যাপারে তার সামনে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। এতে নারীরা নিজেদের অনেকটা নিরাপত মনে করে।

৯। আপনার জীবনে যদি পূ্র্বে কোন প্রেম থেকে থাকে তা প্রিয়তমাকে বলতে যাবেন না যদি সে কখোনো জানতে না চায়। প্রিয়তমা জানতে চাইলে তবেই বলা যেতে পারে।

১০। কথার ছলে গল্প বলা মেয়েরা খুব ভালোবাসে। প্রিয় মানুষটির গল্পে-স্বল্পে বিরক্ত হবেন কিন্তু। তাহলে আপনার প্রিয়তমা কিন্তু আপনার উপর রেগে যাবে। 

১১। প্রিয়তমার সাথে কথা বলার সময় তার শরীরের দিক না তাকিয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে আবেগের সহিত কথা বলুন। এতে মেয়েরা খুবই খুশি হয়।

১২। আপনার মনে বেদনার ঝড় বইতে পারে, তার জন্য বিষয়টি সবাইকে বলে বেড়াবেন তা নয়। প্রিয়তমাকেও আপনার দুঃখ-কষ্ট বুঝতে না দিয়ে হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন।

১৩। একটা কথা আছে না, দেখলে মায়া, না দেখলে ছাড়া, কাছে থাকলে পোড়ে মন দূরে গেলে ঠনঠন। তাই যথাসম্ভব প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন। তাকে ঘনঘন সময় দিতে পারলে ভালো হয়।

১৪। প্রিয়তমার পছন্দ-অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। তার ভালো লাগার প্রতি গুরুত্ব দিন এবং মন্দ লাগার বিষয়গুলোও মাথায় রাখুন।  

১৫। প্রিয়তরার সাথে অন্যকোন নারীর তুলনা করা যাবে না। এটি মেয়েরা মোটেও পছন্দ করেন না।

১৬। অনেকেই ভাবেন প্রেমিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যায় না! কথাটি মোটেও ঠিক না। আগে বন্ধুত্ব অতঃপর প্রেম।

১৭। প্রেমিকার বিশ্বাসে কখোনো আঘাত করবেন না। প্রিয়তমার চিন্তা চেতনাকে সম্মান করুন।

১৮। প্রেমিকার শরীরের মোহে না পরে তার মনের গুরুত্ব দিন। শরীর বৃত্তিয় ভালোবাসা বেশিদিন টিকে থাকে না। মন থেকে ভালোবাসুন। তাহলে দেখবেন একসময় অনায়াসেই তার শরীর মন দু’টোই পেয়ে যাবেন।

 ১৯। নারীরা প্রকৃতিগত ভাবেই কোমল। তাই প্রিয়তমার সাথে কথা বলার সময় কখনো কঠোর হবেন না। নরম সুরে নারীর সাথে কথা বলুন। 

২০। নারীরা খুব আবেগ প্রবণ। তারা সবসময় পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে ভালোবাসে। আপনার প্রিয় মানুষটির পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন। ঘনঘন খোজ খবর নিন।

মনে রাখা উচিৎ ভালোবাসা ছেলের হাতের মোয়া নয়। এটি এমনি এমনি আসে না। একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই ভালোবাসা পাওয়া যায়। ভালোবাসা পেতে হলে ভালোবাসা দিতে হয়। প্রেম ভালোবাসা হল সুন্দরের আরাধনা। নারীর মন বুঝতে হলে নারী যেটা পছন্দ করে তার সাথে ঐ ধরনের আচরন করুন, তাহলেই দেখবেন একসময় আপনার প্রতি ভালোবাসায় বিলগিত হয়ে গেছে।   

ভাল লাগলে লিংকটিতে চাপুন...।

বাংলাদেশের সাধিনতার যুদ্ধ- ১ম পর্ব

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্র আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে।[৯] পঁচিশে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে। গ্রেফতার করা হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙ্গালীর তৎকালীন প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরিকল্গপিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ; জীবন বাঁচাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ পার্শ্ববর্তী ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর কব্জা থেকে মুক্ত করতে কয়েক মাসের মধ্যে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে যখন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর পতন আনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। অত:পর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে ইতোমধ্যে পর্যদুস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এরই মাধ্যমে নয় মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয়; প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙ্গালী জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। ( চলবে...)

ভালো লাগলে লিংকটি চাপুন